একজন নির্ভীক কলম সৈনিক মাহমুদুর রহমান
লিখেছেন লিখেছেন মিষ্টার আলিফ ১৯ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:০০:৩৯ দুপুর
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাথে জন্ম লগ্ন খেকে আমি পাঠক হিসেবে জড়িত ছিলাম। মাঝে মাঝে সাহিত্য পাতায় লিখতাম।একজন নির্লোভ এবং সত্যঅন্যাষী মানুষ হিসেবে বাংলাদেশে তার যচেষ্ট সুনাম যশ রয়েছে।বাংলাদেশে যে কয়টি জনপ্রিয় সংবাদপত্র আছে তার মধ্যে অন্যতম দৈনিক আমার দেশ। আর সেই আমার দেশ এত জনপ্রিয়তা অর্জন করে একমাত্র মাহমুদুর রহমানের সম্পাদনায়।
এখন নিন্দুকেরাও বিশ্বাস করে যে মাহমুদুর রহমানের জনপ্রিয়তা বর্তমানে আকাশ চুম্বি।তাঁর মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার মানুষ আন্দোলন করতেছে।বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক সম্পাদক ছিলো,আছে,থাকবে।তাদের মধ্যে অনেকে পা চাটা গোলামের মত ক্ষমতাসীনদের তাবেদারি করতো। এখনো অনেক সম্পাদক-সাংবাদিক সকল লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে উচ্চিষ্ট ভুগির জন্য প্রকাশ্যে আড়ালে আবডালে গাল নাড়িয়ে হাসছে।এখন আমার প্রশ্ন-কেউ কি আমাকে আশ্বস্ত করতে পারবে তাদের কে এমন পরিনতি ভোগ করতে হবেনা? বাংরার ইতিহাস এমনই যে, কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহন করেনা।বর্তমানে কতেক সম্পাদক-সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে সম্পাদক হিসেবে মানতে নারাজ।কেননা তিনি নাকি ভালো সম্পাদনা করতে জানেননা।বাংলাদেশে এখন অনেক সম্পাদক আছেন যারা সংবাদপত্র সম্পাদনা করেন কিন্তু এক কলম লেখেন না।গ্রামের ভাষায় ক লিখতে কলম বেঙ্গে পেলেন এমন অবস্থা আর কি। যাইহোক কাজী নজরুল থেকে আল মাহমুদ,আর আল মাহমুদ থেকে মাহমুদুর রহমান সত্য লেখার কারনে সরকারী পেটুয়া বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। কারা বরন করতে হয়েছে।কেউ ছিল ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী,কেউ ছিল বাকশালের প্রবক্তা আর এখন কেউ গনতন্ত্রের মুখোশ ধারী নতুন বাকশালের পুনঃজন্মদান কারী।কেউ কারো থেকে কম ক্ষমতাবান নয়।একেবারে মহা ক্ষমতাবান বিশাল রাজ্যের অধিকারী জালিম সৈরাচারি নাস্তিক্যবাদি মোনাফেক শাসক।সব চেয়ে মজার বিষয় যে,রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন,যে সরকার যখনই জনবিহিৃন্ন হয়ে পড়ে তখনই সরকার তাদের আসল মুখোশ খসে পড়ে।বর্তমান কি আমরা তাই দেখতে পাচ্ছি।আমি যখন এই পোষ্টটি লিখছি তখন সত্যের পুজারি মাহমুদুর রহমান আমরন অনশনে আছেন।তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি মরনের কিনারে গিয়ে নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করে তাঁর সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্র আমার দেশ প্রকাশে বাধা দান বন্ধ, তাঁর সহকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাঁর বৃদ্ধ মায়ের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এই তিনদাবিতে আমরন অনশনে আছেন।তাঁর অবস্থা এমনই গুরোতর হে তাকে পিজি হাসফাতালে নিতে হয়েছে। আমরা আশা করবো সরকার মাহমুদুর রহমানের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে একটি অগ্নিগর্বের হাত থেকে দেশকে বাচাতে উদ্দেগ গ্রহন করবে।নচেত সরকারকে এর জন্য কঠিন বাস্তাবতার মুখোমুখি হতে হবে। আর এটাই বাংলাদেশের কঠিন বাস্তবতা।
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন